December 23, 2024, 1:30 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
সরকারি টাকা আত্মসাতের মামলায় পুলিশের সাবেক আদালত উপ-পরিদর্শকের (সিএসআই) তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে আজ বিকেলে রায় ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ায় আদালতে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ট্রেজারি চালানের টাকার একটি করে ডিজিট কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
দুদকের আইনজীরী মুজাহিদ ইসলাম মিঠু জানান, মোস্তফা হাওলাদার আদালত উপ-পরিদর্শক (সিএসআই) হিসেবে ২০১০ সালে কুষ্টিয়া বিচারিক হাকিম আদালতের মালখানায় কর্মরত ছিলেন। ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা করায় প্রথমে সাময়িক বহিস্কার এবং পরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
অ্যাডভোকেট মুজাহিদ ইসলাম মিঠু জানান, দুইটি মামলা নিষ্পত্তির পর জরিমানার ৪৩ হাজার টাকা এবং ২০ হাজার ২০০ টাকা আদায় করেন তিনি। কিন্তু তিনি ৪৩ হাজারের স্থলে ৩ হাজার এবং ২০ হাজার ২শ টাকার স্থলে ২শ টাকা টাকা জমা দেন। ট্রেজারি চালানের কপিতে ঘষামাজা করে ৪৩ হাজারকে ৩ হাজার এবং ২০ হাজার ২শ টাকাকে ২শ টাকা দেখানো হয়। বিষয়টি পরবর্তীতে নিরীক্ষায় ধরা পড়লে আদালত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকে আদেশ দেন। পুলিশ তদন্তে অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পেলে মোস্তফা হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে ২০১০ সালেই তিনি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে আপীল করেন। সেই আপীল খারিজ করে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
দুদকের আইনজীবী আল মুজাহিদ ইসলাম মিঠু জানান, বিষয়টি আদালতের নজরে এলে আদালত দুদককে তদন্তসহ মামলা দায়েরের আদেশ দেয়। দুদক তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সাহার আলী বাদী হয়ে কুষ্টিয়া সদর থানায় আদালত মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে দুদক ২০১১ সালে অভিযোগপত্র দেয়।
আদালত তাকে দুর্নীতি দমন আইনের দুটি ধারায় দন্ড দিয়েছেন। দ-বিধির ২১৮ ধারায় তার এক বছর কারাদ- এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ৫এর ২ ধারায় দুই বছর কারাদ- ও ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো ৪মাসের দন্ড দেয়া হয়েছে। দুইটি সাজা পরপর কার্যকর হবে; তাই তাকে তিন বছর কারাভোগ করতে হবে- বলেন আইনজীবি মুজাহিদ ইসলাম। তবে, মামলার আরেক আসামি আদালত পুলিশ পরিদর্শক কায়েম উদ্দিনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আসামী মোস্তফা হাওলাদার বাড়ি ভোলা জেলায়।
Leave a Reply